জহুরুল ইসলাম, স্টাফ রিপোর্টার:
যমুনা নদীতে শ্রোত ও ঘূর্ণ্যাবর্তের কারণে সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার দেওয়ানগঞ্জ পাকা রাস্তার মাথায় মুর্হুতের মধ্যে চোখের সামনে বিলীন হয়েছে ৫টি বসত ভিটা ও ২টি তাঁত কারখানা। এত হুমকির মুখে পড়েছে বহু ঘরবাড়ি, শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। সামবার (৬ জুন) দুপুর ৩টার দিক এঘটনা ঘট।
সরজমিনে দেখা গেছে, চোখের সামনে বসত ভিটা নদীত চলে যাচ্ছে। কেউ ঘরের খুটি খুলছে, কেউবা টিনের চাল সরিয়ে অন্যত্র নিয়ে যাচ্ছে। আর মহিলারা কাপড় চোপড়, বিছানাপত্র ও রানার জিনিসপত্র নিয়ে যাচ্ছে নিরাপদ স্থানে। যমুনা পাড়ে বয়স্ক ও শিশুদের কান্নার রোল পড়েছে। দৃশ্যটি চৌহালীর বাঘুটিয়া ইউনিয়নের দেওয়ানগঞ্জের পাকা রাস্তার মাথা নদী ভাঙ্গন এলাকায়।
জানা যায়, যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি ও কমার সময় দফায় দফায় যমুনার ভাঙন হয়েছে। তবে বেশ কয়েকদিন ধরে নদীতে পানি স্থিতিশীল খাকায় ভাঙ্গন বন্ধ ছিল। হঠাৎ করে সোমবার দুপুর যমুনা নদীতে স্রোত ও ঘূর্ণ্যাবর্তর সৃষ্টি হয়ে কৃষক আমোদ আলী, আবুল কালাম, রুহুল আমিন, ইদ্রিস আলী, তারা মিয়া ও শাহ আলমের বসত ভিটা ও দুইটি তাঁত কারখানা নদীতে বিলীন হয়ে যায়।
বাঘুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কালাম মোল্লা জানান, নদী ভাঙ্গনের ব্যাপকতা দেখে আমরা হতভাগ। একদিকে কাজ চলছে জিওব্যাগ ডাম্পিংয়ের। অপর দিকে হঠাৎ করে ৫টি বসত ভিটা ও তাঁত কারখানা নদীতে চলে যাওয়ায় আমরাও আতঙ্কিত। আশা করছি দ্রুতই ভাঙ্গনরোধে ব্যবস্থা গ্রহন সেই সাথে নদী ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্থ সকল অসহায় পরিবারকে বিশেষ সহায়তা দেয়া হবে।
এবিষয়ে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বার্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী আব্দুল ওহাব সাংবাদিকদের জানান, চৌহালীর দক্ষিণাঞ্চল চরছেলিমাবাদ এলাকায় ভাঙ্গনরোধে জরুরী ভিত্তিতাবে জিওব্যাগ নিক্ষেপ করা হহচ্ছে। তবে দেওয়ানগঞ্জের নদী ভাঙ্গন বসত ভিটা বিলীনের বিষয়টি জেনেছি। দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনে উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
Leave a Reply