সেরা কন্ঠের এবারের আলোচিত প্রতিযোগী,ফাইনালিস্ট মায়িশা শান্তা।সুদুর আমেরিকা থেকে শাশুড়ী ও দুই বাচ্চাকে নিয়ে বাংলাদেশে এসেছে সেরাকন্ঠে অংশগ্রহণ করতে।প্রায় ছয় মাস নিজের সংসার রেখে বাংলাদেশে অবস্থান করছে প্রতিযোগিতার জন্য।
মায়িশার মেলোডিয়াস পার্ফমেন্স এবং শশুর বাড়ীর এমন সমর্থনের মায়িশাকে নিয়ে প্রতি পর্বেই শ্রদ্ধেয় বিচারক মন্ডলী থেকে মায়িশার স্বামী এবং শাশুড়ী সাধুবাদ জানাচ্ছে।আজ একুশে সংবাদের এক্সক্লুসিভ ইন্টারভিউতে সাথে আছে মায়িশা শান্তা।
-কেমন আছেন?
– আলহামদুলিল্লাহ ভালো।
-আপনি কি ছোটো বেলা থেকেই আমেরিকা প্রবাসী?
-না আমি ছোটো বেলা থেকেই বাংলাদেশে থাকতাম।জন্মসূত্রে চিটাগাং ছিলাম।বিয়ের পর আমি ইউএসএতে শিফট হয়েছি।
– সেরাকন্ঠে পারফর্ম করার অভিজ্ঞতা কেমন?
– এটা বলে বোঝানো কঠিন।গান গাইতে ভালোলাগার সাথে ভালো গাওয়ার প্রেশার এবং সামনে শ্রদ্ধেয় রুনা লায়লা ম্যাম,সামিনা চৌধুরী ম্যাম,রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ম্যাম যাদের গান শুনে বড় হয়েছি তাদের সামনে পারফর্ম করার নার্ভাসনেস সব মিলিয়ে এমন একটা অনুভূতি হয়,আসলে এই অনুভূতি বোঝানো যায় না।
– আচ্ছা আপনার গানের অনুপ্রেরণা কে?আপনার শাশুড়ী না আপনার হাজব্যান্ড?
– আমার মা।আমাকে ছোটো বেলা থেকে গান শেখানো এবং চর্চা রাখা সব কিছুর মুলে আমার মা।তবে ইউএসএ যাওয়ার পর আমার উনি ও আমাকে যথেষ্ট সাপোর্ট দিয়েছে।শাশুড়ী ও আমাকে অনেক অনুপ্রেরণা দিচ্ছে।নাহয় কোনো মেয়ে কখনোই সংসার রেখে ছয় মাস বাংলাদেশে থেকে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারে না।এর জন্য আমি আমার উনি এবং আমার শশুড় শাশুড়ীর কাছে চিরকৃতজ্ঞ।
-আপনার গানের গুরু কে ছিলেন?
-আমার হাতেখড়ি ছিলো আমার আম্মুর কাছে।তারপর শ্রদ্ধেয় পান্না জামান ম্যামের কাছে তারপর শ্রদ্ধেয় বানী কুমার চৌধুরী স্যারের কাছে আমি দীর্ঘদিন উচ্চাঙ্গসংগীতের তালিম নিয়েছিলাম।
-সেরাকন্ঠের মাধ্যমে মানুষ আপনাকে চিনছে,জানছে।কেমন লাগছে ব্যাপারটা?
-আসলে দর্শকশ্রোতারাই সব শিল্পীদের শক্তির উৎস।আমার গান প্রচার হওয়ার পর অনেক অচেনা মানুষই ইনবক্সে নক দিয়ে যখন বলে আমার গান ভালো লেগেছে তখন কনফিডেন্স বেড়ে যায়।প্রতিদিন সকালে উঠে রেওয়াজ করার আগে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করি আর মনে মনে কমিটমেন্ট করি সামনে আরও ভালো গাইতে হবে দর্শকশ্রোতাদের মন রক্ষার্থে।আরও মানুষের মন জয় করতে হবে।দর্শকশ্রোতাদের প্রশংসা আর ভালোবাসা পাওয়ার লোভ বেড়ে গেছে বলতে পারেন।
-সেরা কন্ঠের পর গান নিয়ে আপনার পরবর্তী পরিকল্পনা কি?
-এখন পরিকল্পনা একটাই,মানুষকে গান শোনাবো।কনসার্ট,এ্যালবাম,মিউজিক ভিডিও সহ অনেক পরিকল্পনা আছে।
-শুনলাম চলচিত্রে প্লেব্যাক করছেন?
-জ্বি।২০২৪ এর কোরবানির ঈদের জন্য “একটি তৃতীয় শ্রেণির প্রেম কাহিনি” নামের একটি চলচ্চিত্রে প্লে ব্যাক করার অফার এসেছে।আমারও ইচ্ছে আছে কাজটা করার।আসলে সেরাকন্ঠ শেষ হবার আগে অন্য কোনো দিকে মন দিতে পারছি না।আগে সেরাকন্ঠ শেষ হোক।এবং চলচিত্রের পরিচালক ও আমার অবস্থা বুঝতে পেরেছেন।এবং তিনি বলেছেন সেরাকন্ঠ শেষ হওয়া পর্যন্ত তিনি অপেক্ষা করবেন।দেখা যাক কি হয়।
-আপনার দর্শকশ্রোতাদের উদ্দেশ্যে কি বলতে চান?
-আমি এতটা গুছিয়ে কথা বলতে পারি না।শুধু দর্শকশ্রোতাদের বলবো আমার জন্য দোয়া করবেন যেন জীবনের শেষ পর্যন্ত নিঃস্বার্থ ভাবে আপনাদের গান শোনাতে পারি।আর আপনাদের ভালোবাসায় বেঁচে থাকতে পারি।
Leave a Reply