বাংলাদেশ কারাতে ফেডারেশনের সহ-সভাপতি জনাব মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান এর বিরুদ্ধে পত্রিকায় খেলার নামে আদম পাচারের অভিযোগের সত্যতা তদন্তের মাধ্যমে প্রমাণিত হওয়ায় এবং উহা ফেডারেশনের স্বার্থ বিরোধী ও রাষ্ট্র বিরোধী কার্যকলাপ হিসেবে গণ্য হওয়ায় বাংলাদেশ কারাতে ফেডারেশনের কার্যনির্বাহী পরিষদের সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাঁকে ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখ হতে ফেডারেশনের কার্যনির্বাহী পরিষদের সহ-সভাপতির পদ হতে অব্যাহতি প্রদান এবং তৎপরবর্তী আগামী পাঁচ বছর ফেডারেশনের সকল প্রকার কার্যক্রমে নিষিদ্ধ করা হয়। পরবর্তীতে জনাব মোঃ মোস্তফিজুর রহমান উক্ত অব্যাহতির বিরুদ্ধে মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগে একটি রিট পিটিশন দায়ের করেন। ১৬ অক্টোবর ২০২৩ হাইকোর্ট বিভাগ তাঁকে দেয়া অব্যাহতির সিদ্ধান্তের উপর স্থগিতাদেশ আরোপ করেন। পরবর্তীতে মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগের স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ কারাতে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে সিভিল আপিল দায়ের করেন এবং আপিল বিভাগের চেম্বার জজ শুনানি অন্তে ১৫ নভেম্বর, ২০২৩ মামলার বিষয়বস্তুর উপর উভয়পক্ষকে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার আদেশ প্রদান করেন। অর্থাৎ উক্ত স্থিতাবস্থা বজায় রাখার আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগের পরবর্তী আদেশ না পাওয়া পর্যন্ত জনাব মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান বাংলাদেশ কারাতে ফেডারেশন এর সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না এবং বাংলাদেশ কারাতে ফেডারেশনও উক্ত পদে নতুন কাউকে নির্বাচিত করতে পারবে না।
উক্ত সিভিল আপিলে বাংলাদেশ কারাতে ফেডারেশন এর পক্ষে সিনিয়র অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম ও ব্যারিস্টার মাহিন এম. রহমান এবং মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান এর পক্ষে ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া শুনানি করেন।