গণঅধিকার পরিষদের খুলনা জেলার সদস্য সচিব হামিদুর রহমান রাজিবকে অন্যায়ভাবে আটকের পর মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা দিয়ে জেল হাজতে প্রেরণের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে গণঅধিকার পরিষদ খুলনা জেলা। একই সাথে খুলনা থেকে বাগেরহাট জেলা গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল আমিনকে গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
গত পরশু রাতে অর্থাৎ বৃহঃবার গণঅধিকার পরিষদ খুলনা জেলার সদস্য সচিব হামিদুর রহমান রাজিবকে সন্ধ্যা ৭ টায় দৌলতপুর থানাধীন তেলিগাতি এলাকা থেকে আটক করে দৌলতপুর থানাস্থ মহেশ্বরপাশার নিজ বাসভবনে নিয়ে রাত ১ টা পর্যন্ত ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ব্যাপক ভাংচুর ও তান্ডব চালানো হয়। এ সময় তার বাড়িতে মাদকদ্রব্য সংরক্ষণের নাটক সাজিয়ে তাকে দায়ী করা হয় এবং আটকের সময় তাকে ব্যাপক মারধর করা হয়।
একই সময়ে খুলনা নগরীর গল্লামারী এলাকা থেকে বাচ্চাকে মাদরাসা থেকে বাসায় নিয়ে যাওয়ার পথে গতকাল সন্ধায় বাগেরহাট জেলা গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল ইসলামকে জিঙ্গাসাবাদের কথা বলে তুলে নিয়ে যায় সোনাডাঙা থানা পুলিশ। পরে বিষ্ফোরক আইনে মামলা দিয়ে রাত ১১ টায় খুলনা মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়।
প্রিয় সাংবাদিকবৃন্দ, আমরা জানতে পেরেছি মামলা দেওয়ার পূর্বে তাদের উভয়কে নানাবিধ ভয়ভীতি দেখানো হয়৷ আমাদের বাগেরহাট জেলার সদস্য সচিবকে বলা হয়, তুমি দেখতে তো জামাত শিবিরের মতো। ভিপি নূরের দল করো কোন সাহসে, তোমাকে জামাত শিবির বলে চালান করে দিবো। অনুরুপভাবে খুলনা জেলার সদস্য সচিব হামিদুর রহমান রাজীবকেও গ্রেফতারের পর ভিপি নূরের দল করার কারণে টর্চার করা হয়৷ গতকাল যখন তাকে কোর্টে তুলেছে তখন সে ঠিক মতো হাটতে পারছিল না এবং তার পুরো শরীরে ব্যাথা ছিল। এমনকি তার কোন চিকিৎসা ও করানো হয়নি।
প্রিয় সাংবাদিকবৃন্দ,
শুধুমাত্র তাদের ২জনকে গ্রেফতার করার মধ্য দিয়ে এই বর্বর তান্ডব শেষ হয়নি। গত ৩ দিন ধরে আমাদের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। এলাকার স্থানীয় আওয়ামী গুন্ডারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আমাদের নেতাকর্মীদের উপর লেলিয়ে দিয়ে আমাদের অগ্রযাত্রা রুখে দিতে একজোট হয়ে নেমেছে। আমাদের নেতা কর্মীদের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানেও হুমকি দেয়া হচ্ছে।
বন্ধুগণ, খুলনা জেলা গণঅধিকার পরিষদ এঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানোর পাশাপাশি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিতে চায়, কোনরূপ মাদক ও নাকশতামূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সদস্য সচিবগণ জড়িত নন। গণঅধিকার পরিষদের তৃণমূলের কর্মীদেরকে ভয়ভীতি দেখানো ও খুলনা জেলার স্বাভাবিক কর্মকাণ্ডকে বাধাগ্রস্থ করার উদ্দেশ্যেই সদস্য সচিবকে গ্রেপ্তার করে এ ধরণের মিথ্যা, বানোয়াট ও হয়রানিমূলক মামলা দেওয়া হয়েছে।”
খুলনা সহ দক্ষিনাঞ্চলের মানুষ যখন তেল, গ্যাস ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির প্রতিবাদে মাঠে নামার জন্য তৈরি হচ্ছে, মানুষ যখন এই স্বৈরাচার, ফ্যাসিস্ট ও দানব সরকারের হাত থেকে বাচার জন্য, আন্দোলন সংগ্রামের জন্য তৈরি হচ্ছে ঠিক তখন ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে সরকার ও সরকার দলীয় গুন্ডারা এই ঘৃণ খেলায় মেতে উঠেছে৷
প্রিয় বন্ধুগণ,
আগামীকাল আমাদের সহযোদ্ধাদের কোর্টে তোলা হবে৷ আমরা স্পষ্টভাবে বলে দিতে চাই, আগামীকাল যদি আমাদের সদস্য সচিবগণকে মুক্তি দেওয়া না হয় তাহলে আগামীকাল থেকেই আমরা রাজপথে নামতে বাধ্য হবো। আইনিভাবে লড়াই করার পাশাপাশি সংগ্রামী সদস্য সচিবকে মুক্ত করার জন্য খুলনাবাসীকে সাথে নিয়ে রাজপথে কঠোর কর্মসূচি গ্রহন করা হবে ইনশাআল্লাহ।
বার্তা প্রেরক
মোঃ বিল্লাল হোসেন
আহবায়ক
গণঅধিকার পরিষদ, খুলনা জেলা
তারিখ: ২৫/০২/২০২৩