মোঃআরমান চৌধুরী – শিশুর অঙ্গহানি ও শিশুটির মায়ের শ্লীলতাহানির চেষ্ঠার অপরাধে ডাক্তার নিশাত আব্দুল্লাহ সহ দুই ডাক্তারের বিরুদ্ধে খুলনার সোনাডাংগা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১০/৩০ তৎসহ দন্ড বিধির ৩২৬,৪২৭ ও ৫০৬ ধারায় মামলা। মামলা নম্বর ১ তাং ০১.০৩.২০২৩। একজন অভিযুক্ত ডাক্তারের পক্ষ নিয়ে ডাক্তারদের কর্ম বিরতি, আর চরম ভোগান্তিতে দূর দুরান্ত থেকে আসা রোগীরা। সত্যিই সেলুকাস। মগেরমুল্লুক আর কি!! প্রথমে বিশ্বাস হয়নি। কিন্তু ডাক্তারের শিশুটির মাকে গভীর রাতে পাঠানো এস এম এস পড়ে আমার বিশ্বাস জন্মেছে ।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, নুসরত আরা ( 20 ) – নাঈমুজ্জামান শেখ, স্থায়ী সাং-তালুকদার বাড়ী বারইখালী, পূর্ব ফকিরের তাকিয়া ডাকার মোড়েলগঞ্জ থানা মোড়েলগঞ্জ, খোলা-বাগেরহাট, এ/পি সাং-আফজালের মোড়, জাফরের বাড়ীর ভাড়াটিয়া, বয়রা, খালিশপুর থানা, খুলনা মহানগর, খুলনা ( এনআইডি নং-৮২০৭০০৭৪৪৭), আসামী ১। ডাঃ শেখ নিশাত আব্দুল্লাহ (৪৪) পিতা-আবুল কালাম মোনাজ্জেদ আহমদ, মাতা- নাজিরা বেগম, সাং-শেরে বাংলা রোড, হক নার্সিং হোম, সোনাডাঙ্গা মডেল থানা, খুলনা মহানগর, খুলনা, বর্তমান ঠিকানা সহকারী অধ্যাপক, শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত এটির কম্পিউটার আাদার কাঙ্ক্ষা উনি হাসপাতাল, খালিশপুর থানা, খুলনা, ২। মোঃ নুরুল হক ফরিদা (৬০) পিতা-মৃত মৌলভী ভাবে আলী ফকির, সাং-হক নাসি উহিষাকৃত ও হোম, শেখপাড়া, সোনাডাঙ্গা মডেল থানা, খুলনা সহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন আসামীদের বিরুদ্ধে এই মর্মে এজাহার দায়ের করিতেছি, আক্ষরিত এজাহান আ যে, আমার স্বামী একজন সরকারী চাকুরীজীবি। বর্তমানে তার কর্মস্থল সাতক্ষীরা। চাকুরীর সুবাদে তিনি সেখানেই অবস্থান করেন। আমার মেয়ের অথৈই (৬) এর বাম হাতের আঙ্গুল ২০১৮ সালে আগুনে পুড়িয়া গেলে চিকিৎসা করাই। তার আঙ্গুলের অবস্থার অদ্য ইং০৯/৩/২৩ অবনতি হইলে ইং ২১/০৮/২০২২ তারিখ সকাল অনুমান ১১.০০ ঘটিকার সময় আমার মেয়ের চিকিৎসার জন্য ১নং আসামীর কৰ্মমূল শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতাল, খুলনা যাইয়া মেয়েকে দেখালে তিনি মেঘের হাতের আঙ্গুলের অপারেশন করানোর কথা বলেন। তিনি আরো বলেন আবু নাসের হাসপাতালে অপারেশন না করিয়ে ১নং আসামীর পরিচিত ময়লাপোতা হক হাটকান সময় নার্সিং হোম থেকে অপারেশন করাইলে ভাল হইবে। কারণ তিনি হক নার্সিং হোমে রুপী দেখেন ও অপারেশন করেন । ১নং আসামীর অ আনায় কথা অনুযায়ী ইং ১৭/০১/২০২৩ তারিখ দুপুর অনুমান ০১:৩০ ঘটিকার সময় আমার মেয়েকে অপারেশন করানোর জন্য সোনাডাঙ্গা মডেল থানাধীন শেখপাড়ায় হক নার্সিং হোমে ভর্তি করি। ইং ১৮/০১/২০২৩ তারিখ সন্ধ্যা অনুমান ০৬:৩০ ঘটিকার সময় উক্ত ১নং প্রাপ্ত হইয়া আসামী আমার মেয়ের হাতের আঙ্গুল অপারেশন করেন। অপারেশন করার পর হইতে দিন দিন আমার মেয়ের হাতের আঙ্গুল কালো সোনাডাঙ্গা হইতে থাকে। এ বিষয়ে ১নং আসামীর সহিত কথা বলিলে সে আমার মেয়ের আঙ্গুলের ছবি হোয়াটস এ্যাপে দিতে বলেন। আমি তাহার কথা অনুযায়ী সরল বিশ্বাসে আমার ব্যক্তিগত মোবাইল-১৭৬৩-০০২১২ হইতে তাহার ০১৫৫২-৩৬৯৭৪১ হোয়াটস এ্যাপ মডেলি থানার নাম্বারে মেয়ের আঙ্গুলের ছবি পাঠাই। পরবর্তীতে ১নং আসামী আমার মেয়ের চিকিৎসার সুযোগ নিয়া আমার সহিত ঘনিষ্ঠ হওয়ার -মামলা :-০১, জন্য আমার ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বার-১৭৬৩-০০৮২১২-তে বিভিন্ন সময় তাহার ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বার ০১৫৫২-৩৬৯৭৪১ হইতে কল করে ও ইং ১১/০২/২০২৩ তারিখ রাত্র ১২:৩২ ঘটিকার সময় ম্যাসেজ প্রদান করে ঘুম? রাজ ১২:৩৪ ঘটিকার সময় রাগ? অং ০১/৩/২৩১২-৩৮ ঘটিকার সময় কথা বলা যাবে? “ড্রেসিং এর জন্য নয় আপনাকে একাই আসতে বলছি সহ বিভিন্ন তারিখ ও সময়ে অপত্তিকর 5171-50/600 নারীওশিশু নির্যাতন দমন ম্যাসেজ প্রদান করেন। এছাড়াও ১নং আসামী আমার অন্য একটি মোবাইল নম্বার-০১৬০৯-১৫৮৭৫৮-তে বিভিন্ন সময় কল করিয়া আমাকে একা দেখা করিতে বলে। আমার মেয়ের সু-চিকিৎসার কথা চিন্তা করিয়া ১নং আসামীর দেওয়া মোবাইলের কল ও ম্যাসেজ এর বিষয় কাউকে জানাইনি। ১নং আসামী ইং ০৬/০২/২০২৩ তারিখ আমাকে এসএমএস এর মাধ্যমে আমার মেয়েকে নিয়া শেখপাড়াছ হক নার্সিং হোমের চেম্বারে ড্রেসিং করানোর জন্য যাইতে বলে। আমি উক্ত তারিখ সন্ধ্যা অনুমান ০৭:০০ ঘটিকার সময় ১নং আসামীর চেম্বারে যাইয়া অপেক্ষা করিতে থাকি। ১নং আসামী রাত্র অনুমান ০৮:৩০ ঘটিকার সময় তাহার চেম্বারে আসিয়া আইন ২০০০, আমার মেয়েকে নিয়া অপারেশন থিয়েটারে যাইতে বলে। আমার মেয়েকে নিয়া অপারেশন থিয়েটারের ভিতরে গেলে ১নং আসামী তৎসই ৩২৬/ আমাকে বিভিন্ন প্রকার আপত্তিকর কথাবার্তা বলার একপর্যায়ে আমার হাত ধরে টেনে তাহার কাছে নেওয়ার চেষ্টা করে। তখন আমি ১নং আসামীর কু-মতলব বুঝিতে পারিয়া মেয়েকে নিয়া অপারেশন থিয়েটার হইতে বাহির হইয়া আসি। ২নং আসামী উক্ত নার্সিং 859/006 হোমের এমডি হওয়ায় তাহাকে উক্ত ঘটনার বিষয়ে জানাইলে সে আমার কথার কর্ণপাত না করিয়া উক্ত ঘটনার বিষয় কাউকে না পেনাল কোড বলার জন্য শাশায়। ঘটনার বিষয় কাউকে বললে আমার স্বামীর চাকুরীর ক্ষতি করিবে মর্মে হুমকি প্রদান করে। আমি কাউকে কিছু না বলিয়া মনে কষ্ট নিয়া মেয়ের সু-চিকিৎসার কথা ভাবিয়া চুপ থাকি। ইং ২৩/০২/২০২৩ তারিখ আবু নাসের হাসপাতালে উক্ত ১৮৬০-১৯ আসামীর নিকট গেলে আসামীর নির্দেশে উক্ত হাসপাতালে থাকা ফিজিও থেরাফিট লিপি নামে একজন আমার মেয়ের হাতের আঙ্গুল ড্রেসিং করে দেয়। ইং ২৫/০২/২০২৩ তারিখ রাত্র অনুমান ০৮:৩০ ঘটিকার সময় আমার মেয়ের হাতের আঙ্গুল ব্যান্ডেজসহ খুলিয়া পড়িয়া গেলে ১নং আসামীর ফোনে জানাইয়া হক নার্সিং হোমে যাই। সেখানে আমার মেয়ের চিকিৎসা করিতে অনিহা প্রকাশ করিয়া চিকিৎসা সংক্রান্ত বিভিন্ন রকম কথাবার্তা বলে। তখন আমি ১৯৯ এর মাধ্যমে পুলিশ কে জানাইলে পুলিশ তথায় উপস্থিত ০১/০৩/ ২০২৩ হইলে একপর্যায়ে ১নং আসামী আমার মেয়ের হাতের আঙ্গুল ব্যান্ডেজ করে দেয়। ১নং আসামী আমার উপর অসৎ উদ্দেশ্যে চরিতার্থ করিতে না পারিয়া অন্যান্য আসামীদের পরস্পর যোগসাজসে আমার মেয়ে অথৈই(৬) এর বাম হাতের আঙ্গুলে গুরুতর আঘাত দান। (অন্যবিধ কার্যক্রম দ্বারা) পূর্বক আঙ্গুল স্থায়ী ভাবে বিকলঙ্গ করিয়া অপুরনীয় ক্ষতিসাধন করে। উক্ত ঘটনার বিষয়ে আমার নিকটতম লোকজনের সহিত আলাপ আলোচনা করিয়া এবং আমার মেয়ে গুরুতর অসুস্থ্য থাকায় মেয়ের সেবায় ব্যস্ত থাকায় অত্র এজাহার আমার শ্বাশুড়ি নুরুন্নাহার বেগম এর মাধ্যমে থানায় প্রেরণ করিতে বিলম্ব হইল।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি খুলনা বাসির অনুরোধ মামলার সত্য উদ্ধঘাটন করে সঠিক বিচারের সহযোগিতা করার। ঘটনার বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে করা।সাধারন নাগরিকরা বলেন, ডাক্তারদের বিরুদ্ধে মামলা হলেই কর্ম বিরতী করে, তারা বুঝে গেছে মানুষ তাদের কাছে কতটা জিম্মি, আর এই সুযোগটাই তারা নেয় সব সময়। ডাঃ দের মতো এতো মেধাবী সংগঠন তাদের আরো আধুনিক হওয়া দরকার। তাদের নিজস্ব এসোসিয়েশন আছে, সেখানে নিজস্ব প্রাইমারী ইনভেজটিগেশন করা উচিৎ, তারা যদি মনে করে ঘটনা মিথ্যা অফিসিয়ালি আরো অনেক পদক্ষেপ নিতে পারে, কিন্তু এসব না করেই তারা সব সময় কর্ম বিরতী করে এতে কি তারা অন্যের অন্যায় কাজকে নিজেদের কাধে তুলে নেয় না। আমরা দেখি বাস বা ট্রাক শ্রমিকদের ব্যাপারে কোন আইনি বিষয় আসলে তারা ধর্মঘট করে। তাহলে ডাক্তার আর ড্রাইভার এর মধ্যে কি কোন পার্থক্য থাকবে না?
Leave a Reply