জহুরুল ইসলাম, স্টাফ রিপোর্টার:
সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার ভাঙ্গাবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলাম ভূইয়ার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা করায় ইউপি সদস্য আব্দুর রাজ্জাক খাঁনকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার (১১ আগস্ট) বিকালে উপজেলার ভাঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের তামাই গ্রামে চেয়ারম্যানের বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগীর পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, ঐ ইউনিয়নের উত্তর বানিয়াগাঁতীস্থ প্রধান মন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের সভাপতি মনোনীত হন ইউপি সদস্য আব্দুর রাজ্জাক। আশ্রয়ণ প্রকল্পে জহুরুল চেয়ারম্যান সভাপতি হতে না পারায় কাজে বাধাগ্রস্ত করতে বিভিন্ন সময়ে চাঁদা দাবি করতেন। এর প্রেক্ষিতে গত ৩ অগাস্ট বিজ্ঞ আদালতে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেন ইউপি সদস্য আব্দুর রাজ্জাক খাঁন। মামলার পর থেকেই তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আসছিলেন ঐ চেয়ারম্যান।
শুক্রবার বাদ জুম্মা আব্দুর রাজ্জাক তার আত্মীয় তামাই গ্রামের মফেল সরকারের কুলখানির অনুষ্ঠানে যান। কুলখানি শেষে আব্দুর রাজ্জাক মেহেদী নামের একজনকে সঙ্গে নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। চেয়ারম্যান জহুরুলের বাড়ির নিকট পৌঁছলে মোটর সাইকেলের গতিরোধ করেন ইউপি চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলাম ও তার লোকজন। একপর্যায়ে জহুরুল ইসলাম রাজ্জাকের মাথায় কোপ মারেন। পরে চেয়ারম্যানের শ্যালক কুড়াল দিয়ে কোপ দেওয়ার চেষ্টা করলে দ্রুত মোটরসাইকেল চালক মেহেদী ও আব্দুর রাজ্জাক ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
রক্তাক্ত অবস্থায় ইউপি সদস্য থানায় যান আব্দুর রাজ্জাক। পরে পুলিশের পরামর্শে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। কিন্তু দায়িত্বরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার লক্ষ্যে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে রেফার করেন। সেখানে নিয়ে তাকে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত ভাঙ্গাবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলাম ভূইয়া মুঠোফোনে ঘটনার কথা অশ্বীকার করে বলেন, ষড়যন্ত্র করে আমাকে ফাসানোর চেষ্টা করছে। আমি সেদিন বাড়িতে ছিলাম না। দরকারি তাজে শাহাজাদপুর গিয়েছিলাম।
বেলকুচি থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খায়রুল বাশার জানান, ‘রক্তাক্ত অবস্থায় ইউপি সদস্য আব্দুর রাজ্জাক খাঁন আমার নিকট এসেছিলেন। আমি তাকে চিকিৎসা নিতে বলেছি। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply