জহুরুল ইসলাম, স্টাফ রিপোর্টার:
পবিত্র-উল-ফিতরকে সামনে রেখে কর্মমুখর হয়ে উঠেছে সিরাজগঞ্জ ও টাঙ্গাইলের তাঁত পল্লীগুলো। দিনরাত খটখট শব্দে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। করোনার কারণে তাঁত মালিকদের লোকসান কাটিয়ে এবার লাভের মুখ দেখার আশা করছেন। তবে রং-সুতাসহ তাঁতের কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি পাওয়াতে তাদের উৎপাদন খরচ বেড়েছে কয়েকগুন। ঐতিহ্যবাহী এই শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে রং সুতাসহ বিভিন্ন কাঁচামালের দাম কমানের জন্য সরকারের সু-দৃষ্টি কামনা করছেন তাঁতীরা।
প্রতিবছরের ন্যায় এবারো তাঁতের উৎপাদিত বিভিন্ন ধরনের পন্য তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তাঁত মালিকেরা। এ এলাকার বিভিন্ন তাঁত কারখানায় তৈরি হচ্ছে আধুনিক মানের জামদানি, সুতি জামদানি, সুতি কাতান, বেনারসি শাড়ি ও বিভিন্ন ধরনের লুঙ্গি। পুরুষের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নলী ভরা, সুতা পারি করা, মাড় দেওয়াসহ কাপড় বুননের কাজে সহযোগিতা করছেন নারী শ্রমিকরা। গুনগত মানের কারণে এ অঞ্চলের তাঁতকারখানায় তৈরি উন্নতমানের শাড়ি লুঙ্গী সহ বিভিন্ন ধরনের কাপড় দেশের চাহিদা মিটিয়ে এখন বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে।
তাঁত মালিকেরা বলছেন, গত বছরের তুলনায় এবছর বাজারো চাহিদা অনেক বেশি, তবে তাঁত কারখানার প্রয়োজনী রং সুতা সহ সরকারি নজরদারি ও পৃষ্ঠপোষকতা না থাকলে এই শিল্পের অস্তিত্ব সংকটে পড়বে।
শ্রমিকরা বলছেন, ঈদকে ঘিরে আমাদের ব্যস্ততা বাড়লেও বিদ্যুৎ সমস্যা কারনে আমরাদের বাড়তি উপর্যনের পথ ব্যহত হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আনিছুর রহমান বলেন, প্রতিবছরের ন্যায় এবছরেও তাঁতকারখানার মালিকদের বিশেষ ঋন সুবিধাসহ সরকারি অনুধান দেয়া হচ্ছে। এছাড়া অবৈধভাবে ভারত থেকে কাপড় আমধানি করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা দেয়া হবে।
Leave a Reply