জহুরুল ইসলাম, স্টাফ রিপোর্টার:
কাদেরিয়া বাহিনীর গেরিলা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হামিদ খান (নয়া মুন্সি)র জানাজার নামাজের আগে সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম। সখীপুরের ইউএনকে উদ্দেশ্য করে বলেন, কোন মহিলার গার্ড অব অনার দেওয়ার সুযোগ নেই। তিনি এখানে এসে মুক্তিযোদ্ধার লাশের সঙ্গে বেয়াদবি করেছেন। যদি এখন বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকত তাহলে এখানকার অনেক কর্মকর্তাকে এসব অপরাধে দ্রুতই ঢাকায় পাঠাতাম।’
বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হামিদ খান (নয়া মুন্সি) কে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দিতে গেলে সখীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা আলমের বিরুদ্ধে কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম এসব কথা বলেন।
তিনি সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে অসম্মান করার কারণে এই ইউএনওকে আগামীকালের মধ্যে সখীপুর থেকে সরিয়ে নেওয়া হোক।’
তিনি এসময় আরও বলেন,“দেশের অনেক উত্থান পতনের কারণে, দেশ স্বাধীন হলেও দেশের স্বাধীনতা অর্থবহ হয় নাই, মুক্তিযোদ্ধারা যথাযথ সম্মান পায়নি। স্বাধীনতার শক্ররা যতটা দাপটে চলাফেরা করে, যারা জীবন দিয়ে স্বাধীনতা এনেছে তাঁরা অতটা পারে না।”
আমি খুবই মর্মাহত পুলিশের গার্ড অব অনার নিয়ে। রাত বারোটার দিকে বীর মুক্তিযোদ্ধা মারা গেলেও আজ বেলা দুইটার মধ্যেও একটি ম্যাজিস্ট্রেটও আসেননি। মেয়ে যত বড়ই হোক মেয়েদের জানাজায় শামিল হওয়ার সুযোগ নেই।’
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারজানা আলম সাংবাদিকদের বলেন, আমি জানাজার নামাজ পড়তে যাইনি। আমি গিয়েছিলাম বীর মুক্তিযোদ্ধাকে রাষ্ট্রীয় সম্মান প্রদর্শনের জন্য। বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী হাজার লোকের সামনে আমাকে অপমান করেছেন। কাদের সিদ্দিকী নিঃসন্দেহে একজন বড় মাপের বীর মুক্তিযোদ্ধা। তার বিরুদ্ধে আমার কোনো অভিযোগ নেই।
তবে কাদের সিদ্দিকী মাঠ থেকে চলে যাবার পর ওই বীর মুক্তিযোদ্ধাকে যথাযথ রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দেওয়া হয়।
গতশুক্রবার রাত ১২ টায় আবদুল হামিদ খান মৃত্যুবরণ করেন। বাদ যোহর পাইলট স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে তাঁর নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় পৌরমেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু হানিফ আজাদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শওকত শিকদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা এমও গণি, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হালিম, ইদ্রিস আলী শিকদার, সাবেক মেয়র সানোয়ার হোসেন সজীব প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply