জহুরুল ইসলাম, স্টাফ রিপোর্টার:
সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে আওয়ামীলীগের অন্তকোন্দলকে কেন্দ্র করে দু’গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে দুই সাংবাদিক ও পুশিশসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। এঘটনায় উভয় পক্ষের মামলার প্রস্তুতি চলছে।
শনিবার (১৩ মে) বিকেলে বেলকুচি উপজেলা আওয়ামিলীগের কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এঘটনার সংবাদ সংগ্রহের সময় পুলিশের সামনেই ৭১ টিভি’র সাংবাদিক উজ্জ্বল অধিকারীকে মারধর ও ইনকিলাব পত্রিকার আব্দুর রাজ্জাক বাবুকে লাঞ্ছিত করে এমপি গ্রুপের লোকজন।
আহতরা হলেন, এমপি গ্রুপের আওয়ামী লীগ নেতা আলমাসুর রহমান শিকদার, ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক পাভেল শেখ, যুব মহিলালীগের সভাপতি সুমা খাতুন, সাধারণ সম্পাদক শিরিন আক্তার, অর্থ সম্পাদক আন্না খাতুন, সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সুলতানা রাজিয়া মিলন, সাবেক শ্রমিকলীগ নেতা মোতালেব সরকার।
রেজা গ্রুপের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শিপন আহাম্মেদ, যুবলীগ নেতা রিপন বাবু, মনসুর আহাম্মেদ, সাব্বির হোসেন, নাবিন মন্ডল, আব্দুস সালাম, রতন, ওমর ফারুকসহ অন্যান্যরা।
বেলকুচি পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি আক্তার হামিদ জানান, আজ উপজেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দের নির্দেশনা অনুযায়ী ঘুর্ণঝর মোখা মোকাবেলায় ভূমিকা ও স্থানীয় পৌর মেয়রের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তোরন নিয়ে অপপ্রচার চালানোর প্রতিবাদ জানিয়ে পৌর ছাত্রলীগ শান্তিপূর্ণ সামাবেশ ডাক দেয়। কিন্তু সমাবেশ শুরুর আগেই মেয়র রেজা ও তার সমর্থকেরা আওয়ামীলীগ কর্যালয়ে এসে আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের অকর্থ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। পরে এটি এক পর্যায়ে সংঘর্ষে রুপ নেয়। তাতে বেশকিছু নেতাকর্মী আহত হয়।
এ বিষয়ে বেলকুচি পৌরসভার মেয়র সাজ্জাদুল হক রেজা বলেন, দুপুর তিনটায় দিকে বেলকুচি উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে দলীয় নেতাকর্মী নিয়ে চা চক্র ও রাজনৈতিক আলোচনা করতেছিলাম। এমন সময় এমপি আব্দুল মোমিন মন্ডলের অনুসারীরা পরিকল্পিতভাবে পিএস সেলিমের নেতৃত্বে বেলকুচি থানার ওসির সহযোগিতায় আমাদের নেতা কর্মীর উপরে সন্ত্রাসী হামলা চালায়।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বেগম আশানুর বিশ্বাস বলেন, আজকে আমাদের কোন রাজনৈতিক কর্মসূচি ছিল না, মেয়র রেজা আমাদের নেতাকর্মীদের নিয়ে চা চক্র করছিলেন, কিন্তু এমপির পিএস সেলিম আওয়ামী লীগের প্রোগ্রামের কথা বলে পরিকল্পিতভাবে আমাদের নেতাকর্মীদের উপরে সন্ত্রাসী হামলা চালায়।
বেলকুচি থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আসলাম হোসেন জানায়, উপজেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে সংঘর্ষের ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। এবিষয়ে আপনাদের বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
Leave a Reply