বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০২০ সালের এই দিনে ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি। তিনি একাধিক বার জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ১৪ দলের মুখপাত্র ছিলেন। এ রাজনীতিবীদ ১৯৯৬ সালে স্বরাষ্ট্র, গৃহায়ন ও গণপূর্ত এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

আজ ঢাকা বানানী থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্র নেতা মীর মোশারফ হোসেন বনানী কবরস্থানে বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ মোহাম্মদ নাসিমের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্বা জানায়।এতে আরো অংশগ্রহন করেন নাসিম পুত্রসহ বনানী থানা আ.লীগের বিভিন্ন অংঙ্গ সংগঠনের নেত্রীবৃন্দ।

১৯৮১ সালের আওয়ামী লীগের সম্মেলনের মাধ্যমে ছাত্ররাজনীতি থেকে জাতীয় রাজনীতিতে প্রবেশ করেন নাসিম। ওই সম্মেলনে আওয়ামী লীগের যুব সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৮২ সালে নাসিমকে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য করা হয়। পরবর্তীতে ১৯৮৭ সালের সম্মেলনে দলের প্রচার সম্পাদক মনোনীত হন। ১৯৯২ ও ১৯৯৭ সালের সম্মেলনে তিনি দলের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

২০০২ সালের আগ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় কমিটিতে সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ ছিল। এরপর থেকে বিভাগভিত্তিক সাংগঠনিক সম্পাদকদের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ২০০২ ও ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত দলের সম্মেলনে তাকে দলের কার্যনির্বাহী কমিটির এক নম্বর সদস্য পদে রাখা হয়। ২০১২ সালের সম্মেলনে তাকে দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়। পরপর তিন মেয়াদে তিনি এই দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৮৬ সালে নাসিম প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। সিরাজগঞ্জ-১ সংসদীয় আসন (কাজীপুর) থেকে পাঁচবার বিজয়ী হন তিনি। ১৯৯১-এ তিনি জাতীয় সংসদে বিরোধী দলের চীফ হুইপ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৬ সালে তিনি স্বরাষ্ট্র, গৃহায়ন ও গণপূর্ত এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী নিযুক্ত হন। ২০১৪ সালের নির্বাচনে নাসিমকে মনোনয়ন পান এবং বিজয়ী সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ২০১৯ সালের নির্বাচনেও তিনি বিজয়ী হন। ২০২০ সালের ১৩ জুন ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি।