সুনামগঞ্জে আদালত প্রাঙ্গণে বাদীকে প্রকাশ্যে হত্যার ঘটনায় একজনকে মৃত্যুদণ্ড ও চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
বুধবার দুপুর ১২টায় জেলা ও দায়রা জজ মো. হেমায়েত উদ্দিন এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মো. ফয়েজ আহমেদ সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের গলাখাই গ্রামের মৃত মহিবুর রহমানের ছেলে। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- একই গ্রামের মো. সেবুল মিয়া, সাজিদ মিয়া, এহসানুল করিম শাহান ও মো. ইসরাইল কবির মারজান। রায়ের সময় আসামি ফয়েজ আহমদ ও সেবুল মিয়া আদালতে উপস্থিত ছিলেন। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামি পলাতক রয়েছেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, জমিসংক্রান্ত বিষয়ে মিজানুর রহমান ওরফে খোকন মিয়া ফয়েজ আহমেদ ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। ২০২২ সালের ২১ জুলাই মিজানুর ওরফে খোকন মিয়া তার ভাই ফারুক মিয়ার সঙ্গে আদালতে আসেন। সেদিন ফারুক মিয়ার দায়ের করা অন্য একটি মামলায় ফয়েজ আহমেদ ও তার লোকজন হাজিরা দিতে আদালতে আসেন। হাজিরা শেষে বাদী খোকন ও ফারুক মামলার তথ্য জানতে আইনজীবী সমিতির সামনে গেলে আসামি ফয়েজ তার সহযোগীদের নিয়ে প্রকাশ্যে খোকন মিয়াকে ছুরিকাঘাত করে। পরে আদালত প্রাঙ্গণে থাকা আইনজীবী ও লোকজন তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ সময় আদালত প্রাঙ্গণে থাকা আইনজীবী ও জনতা মিলে তিনজনকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় নিহতের বাবা ফটিক মিয়া বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর খাইরুল কবির রুমেন বলেন, আদালত প্রাঙ্গণে এমন হত্যাকাণ্ডের ঘটনার এক বছর পর আদালত আজ রায় দিয়েছেন। একই সঙ্গে পলাতক আসামিদের গ্রেফতারি পরোয়ানা জারিরও নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা এই রায়ে সন্তুষ্ট।
Leave a Reply