২০০৪ সালের২১ আগস্ট খালেদা নিজামীর সরকারের আমলে হত্যার নৈরাজ্য ঘুম খুনের বিরুদ্ধে এক প্রতিবাদ সমাবেশ হয় বঙ্গবন্ধু এভিনিউ ২৩ নম্বর পার্টি অফিসের সামনে। জননেত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য শেষে যখন মিছিল শুরু হবে এমন একটি সময়ে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ও উর্পযপরি গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়। যেহেতু মঞ্চে ছিল একটি ট্রাকের উপর আল্লাহর রহমতে সেই গ্রেনেড ট্রাকের উপরে না পড়ে ট্রাকের নিচে পড়ে এবং জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বাঁচিয়ে রাখেন। আমরা কোটি কোটি শুকরিয়া আদায় করি শেখ হাসিনাকে আল্লাহ রক্ষা করেছেন। কিন্তু আমরা হারিয়েছি আমাদের আর এক নেত্রী আইভী রহমান সহ ২৪ জন নেতা কর্মীকে। সেই সমাবেশে আমি উপস্থিত ছিলাম এবং আমি আইভীর রহমানের কাছ থেকে ৪-৫ ফিট দূরত্বে ছিলাম। ওই গ্রেনেড আমি ছুড়তে দেখেছি। আমার যতক্ষণ জ্ঞান ছিল দেখেছি উপর থেকে যেমনিভাবে গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হচ্ছে হঠাৎ করে দেখলাম যে হইহুল্লা কে কার উপর পড়ছে মানুষের লাশ তার মাংস ছিন্ন বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে মাংস উপরের দিকে হাত উপরের দিকে উঠে চলে যাচ্ছে কাপড় উপরের দিকে উঠে যাচ্ছে। আমি সেখানে পড়েছিলাম আমার শরীরের মধ্যে অনেক স্পিন্ডার আছে। এরপরে কে বা কারা আমাকে রিক্সায় করে হসপিটালে নিয়ে যায়। ইতিমধ্যেই আমার সব আত্মীয়-স্বজন জানতে পারে আমি মারা গিয়েছি আমার লাশ খোঁজার জন্য ওই গুলিস্থান চত্বরে অনেক আত্মীয়স্বজন চলে গিয়েছে। তারা হাউমাউ করে কেঁদেছে। আমার লাশ পাইনি। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছে। আজকে অসহ্য যন্ত্রণা আর শরীরের মধ্যে স্পিন্টার নিয়ে বেচেঁ আছি। যখন একটু অসুস্থ হয়ে পড়ি তখনই এই স্প্রিন্টার গুলো অনেক শক্তিশালী হয়ে শরীরের মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় খোঁচাখুঁচি শুরু করে এবং কি অসহ্য বেদনা অসহ্য কষ্ট। সবচেয়ে বড় কষ্ট যখন রাতের ঘুমের মধ্যে সেই একুশে গ্রেট হামলার চিত্র আমার চোখের সামনে ভেসে ওঠে তখন আমি যে দিসা হারা হয়ে যাই। আমার বাকরুদ্ধ হয়ে যায়। আমার ভিতরে আবার নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে যায়। এক অসহ্য যন্ত্রণা কি বীভৎস কাহিনী যিনি দেখেছেন তিনি শুধু বলতে পারবেন। আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কাছে আমরা কোটি কোটি শুকরিয়া আদায় করি আমরা যদি মারা যেতাম দেশের কিছুই হতো না কিন্তু জননেত্রীর শেখ হাসিনা মারা যেতেন তাহলে এই দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হতো এই দেশের স্বাধীনতা ধ্বংস হয়ে যেত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ধ্বংস হয়ে যেত নেত্রী শূন্য হয়ে যেত। এই দেশের মানুষের ভাগ্য কত বিলম্বনা একটি অবস্থায় চলে যেত আমরা জানি না। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন জননেত্রী শেখ হাসিনাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন বলেই আজকে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে উন্নত হয়েছে।আজকে বাংলাদেশ আর সেই অভাবি এবং ভিক্ষুকের জাতি নাই। আজকে বাংলাদেশ জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নত সমৃদ্ধশালী দেশ হিসাবে পরিনিত হচ্ছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের স্বপ্নের সোনার বাংলা জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত দিয়েই প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। আজকে বাংলাদেশ বিশ্বের দরবারে একটি উন্নত সমৃদ্ধশালী এবং সম্মানিত জাতি হিসেবে উপস্থাপিত হয়েছে। তাই আল্লাহ রব্বুল আলামীনের কাছে আমরা আবেদন নিবেদন করি জননেত্রী শেখ হাসিনাকে দীর্ঘায়ু দান করেন এবং তার নেতৃত্বেই যেন এই দেশ একটি স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত হয়। জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু।
Leave a Reply