মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার মিরপুরে একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজ। এটি বাংলাদেশের বেসরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
বর্তমানে প্রতিষ্ঠানে বাংলা মাধ্যম ও ইংরেজি মাধ্যম ও উচ্চ মাধ্যমিক শাখায় প্রায় ৩৫ হাজার ছাত্র-ছাত্রী অধ্যয়ন করছে। মনিপুর বালিকা স্কুলের মূল শাখায় কেরানি পদে আছেন মোঃ হুমায়ুনুর রশিদ পিতা মোঃ হানিফ উল্লাহ ঠিকানা ১১৫৫/ ৬ পূর্ব মনিপুর মিরপুর ঢাকা ১২১৬।
অথচ তিনি একজন সামান্য কেরানী হয়ে বনে গেছেন কোটিপতি রয়েছে তার নামে বেনামে ঢাকায় ফ্ল্যাট বিভিন্ন জায়গায় সম্পত্তি এবং রয়েছে ব্যাংক ব্যালেন্স।সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ন একজন সামান্য কেরানি হয়ে এত টাকা সম্পত্তি কিভাবে করলেন মোঃ হুমায়ুনুর রশিদ। কোথায় পেলে এত টাকা। এই টাকার উৎস কোথায় থেকে আসে দেখার কি কেউ নেই?
রাজধানীর মনিপুর স্কুল এন্ড কলেজের কেরানি হুমায়ুন কিভাবে রাতারাতি শত শত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন তা নিয়ে প্রতিবেশি ও সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের মধ্যে নানা কৌতূহল বিরাজ করছে।পেশায় একজন কেরানি অথচ এলাকায় একজন সমাজ সেবক দানবীর।জানা যায় মনিপুর স্কুলের কেরানি থাকা অবস্থায় এখানে চাকরি করে গড়েছেন ১০০৮ পূর্বমনিপুর একটি ফ্লাট (নাজ গার্ডেন),১১৫৫/৬ পূর্ব মনিপুর চারটি ফ্লাট,বাসা ১,রোড ১১ রুপনগর আবাসিক এলাকা একটি ফ্লাট,১০৯২/১ পূর্বমনিপুর পুরোবাড়ি নিজ নামে।ঢাকা শহরে নামে বেনামে বহু মার্কেটে দোকান ও অনেকগুলি ফ্লাট রয়েছে। মেয়েকে বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তি খরচ প্রায় ২৫ থেকে ৩০ লক্ষ। এভাবে নামে বেনামে ঢাকা শহর ও তার গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন।দূনীর্তি ছাড়া একটা স্কুলের কেরানি এত পরিমানের সম্পদ কিভাবে গড়েছেন তা নিয়ে চলছে নানা আলোচনা।অথচ তার বিরুদ্ধে এখনো কোন তদন্ত বা টাকার উৎস নিয়ে সরকারি কোন তদন্ত ও হচ্ছেনা।এলাকায় তিনি দানবীর বলে পরিচিত অথচ তার এ অর্জিত সম্পদকে লুটপাটের বলে সর্বশ্রনী মনে করছে।হুমায়ন কেরানি থেকে শত শত কোটি টাকার মালিক হয়ে দানবীর হলে।সমাজ ও রাষ্ট্রে দুর্নীতিবাজরা অধিপতি হবে। তাই এখনি হুমায়ুনের বিরুদ্ধে তদন্ত করে তার সম্পদের উৎস বের করা উচিৎ বলে মনে করেন সাধারণ শ্রেণি পেশার মানুষ।আমাদের সাংবাদিক টিম হুমায়ুন রশিদের সাথে সাক্ষাৎ করে তার টাকা এবং সম্পদের উৎস জানতে চাইলে হুমায়ুন রশিদ এক কথায় অস্বীকার করে। আমাদের টিম সরজমিনে তদন্ত করে জানতে পারে উক্ত সম্পদ সবগুলোই হুমায়ুন রশিদ এবং তার স্ত্রীর নামে। আমাদের টিমের কাছে তথ্য আছে হুমায়ুন কবির মাসে তার ফ্ল্যাট এবং বাড়ি থেকে যা ভাড়া পায় তা সিঙ্গাপুরের পাচার করেন। মনিপুর স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের বাবা মার মধ্যে এমনও ভুক্তভোগী আছেন যারা তাদের সন্তানের স্কুলের ভর্তির ফি দিতে গিয়ে সংসারে অভাব অনটনে ভুগছেন। এমতাবস্থায় প্রশাসন কেন নিশ্চুপ তা খুঁজে দেখার বিষয়।
Leave a Reply